হাথরাসে দলিত তরুণীর নির্মম পরিণতির প্রতিবাদে যখন ফুঁসছে গোটা দেশ, ঠিক তখন নির্যাতিতার গ্রামের অদূরেই গণধর্ষণে অভিযুক্ত ৪ উঁচুজাতের যুবকের পাশে দাঁড়িয়ে শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ করলেন ঠাকুর সম্প্রদায়ের কয়েকশো মানুষ। গণধর্ষণে অভিযুক্তদের ন্য়ায্য় বিচারের দাবিতে নির্যাতিতার গ্রাম থেকে ৫০০ মিটার দূরে বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে এক অন্য় ছবি সামনে এল।
ওজবীর সিং রানা নামে এক বিক্ষোভকারী বললেন, ''আমরা জেলাশাসকের নির্দেশকে মান্য় করছি। কিন্তু অন্য়ায়ের বিরুদ্ধে আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। একটা ঘটনায় আমাদের সম্প্রদায়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। যদি তারা দোষী হয়, তবে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু দোষী না হলে, দয়া করে তাদের মুক্ত করা হোক''।
আরও পড়ুন: খাঁকি উর্দির বেষ্টনিতে হাথরাস যেন ‘দুর্গ’
src="https://www.youtube.com/embed/MLHk2PSGUzo" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">
গোবিন্দ শর্মা নামে আরেক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ''আমার বন্ধুরা বলেছে যে, এ ব্য়াপার নিয়ে আলোচনা করতে মহাপঞ্চায়েত করা হবে...আমরা সকলেই জানি যে, মেডিক্য়াল রিপোর্টে ধর্ষণের কথা বলা হয়নি। আমাদের টার্গেট করা হচ্ছে এবং আমাদেরকে অত্য়াচারী বলা হোক, এটা চাই না। এরকম কোনও পরিস্থিতি নেই এখানে''।
আরও পড়ুন: হাথরাসকাণ্ডে সাসপেন্ড পুলিশ সুপার-সহ ৫ অফিসার, পুলিশের ‘সন্দেহজনক’ পদক্ষেপ নিয়ে সরব উমা
যদিও এ বিষয়ে গ্রামের প্রধান রাম কুমার ফোন ও টেক্সট মেসেজে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। গণধর্ষণে অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে শুক্রবার যোগ দিয়েছিলেন আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারাও। পরে, ওই এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভ হটায় পুলিশ।
এদিকে, গণধর্ষণ ও নির্মম অত্য়াচারে দলিত তরুণীর মৃত্য়ুর ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদের আবহে শুক্রবার পুলিশ সুপার-সহ ৫ আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে যোগী সরকার। টুইটারে যোগী আদিত্য়নাথ লিখেছেন, উত্তরপ্রদেশের মা-বোনেদের সম্মান নষ্ট যারা করবে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। হাথরাসের ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল যন্তর মন্তরে বিক্ষোভে সামিল হন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সীতারাম ইয়েচুরিরা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন